Ring ring
HomeBlogAbout me
তৃতীয় অধ্যায়
প্রাণিজগৎ
সৌরজগতে পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণের সপন্দন আছে, জীবনের কোলাহল আছে। কেবলমাত্র এ গ্রহেই জীব এর অসিত্ব রয়েছে। তোমরা জান, যার জীবন আছে তাই জীব। জীব দু’রকম- উদ্ভিদ ও প্রাণী। এ অধ্যায়ে আমরা প্রাণিজগৎ নিয়ে আলোচনা করব। পৃথিবীর সকল জায়গা যেমন এক রকম নয়, তেমনি সব জায়গায় এক রকম জীব পাওয়া যায় না। পৃথিবীর কোথাও রয়েছে গহীন বন, কোথাও মরুভমি আবার কোথাও বরফে ঢাকা রয়েছে। জীবের বেঁচে থাকার জন্য তাপ ও আলো খুবই দরকার। সর্য হচেছ পৃথিবীর তাপ ও আলোর মল উৎস। পৃথিবীপৃষ্ঠের সব জায়গায় সর্যের আলো সমানভাবে পড়ে না। তাই সব এলাকার তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত এক রকম হয় না। কোনো কোনো এলাকায় সারা বছর বৃষ্টিপাত হয়, আবার কোথাও বৃষ্টিপাত হয় না বললেই চলে। এ থেকে বোঝা যায় যে পৃথিবীতে বিভিনড়ব এলাকার আবহাওয়ার যেমন পার্থক্য আছে তেমনি পরিবেশেরও বিভিনড়বতা আছে। আর এ কারণে ভিনড়ব পরিবেশে ভিনড়ব ভিনড়ব প্রাণী বাস করে। যেমন, কেউ পানিতে বাস করে, কেউ বা সমুদ্রে, কেউ থাকে ডাঙায় আর কেউ মনের আনন্দে আকাশে উড়ে বেড়ায়। উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু বছরের অধিকাংশ সময় বরফে ঢাকা থাকে, এখানে সর্যের আলো পৌঁছায়ও কম। আবার মরুভমির আবহাওয়া ঠিক বিপরীত। এখানে বৃষ্টিপাত খুব কম হয়। মরুভমিতে দিনে খুব গরম ও রাতে খুব ঠান্ডা
পড়ে। জলবায়ু ও পারিপার্শ্বিক অবস'াভেদে বিভিনড়ব প্রাণী বিভিনড়ব পরিবেশে বাস করে। কারণ প্রাণী তার পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। পৃথিবীর সকল প্রাণীকে নিয়েই বৈচিত্র্যময় এ প্রাণিজগৎ গঠিত হয়।
প্রাণীর শ্রেণীকরণ
তোমরা জেনেছ পৃথিবীর নানা পরিবেশে নানারকম প্রাণী বাস করে। এদের গঠন ও আকার-আকৃতিতে বৈচিত্র্য রয়েছে। দৈহিক গঠনের ভিত্তিতে সকল প্রাণীকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়; যথা- মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী। মাছ, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, মানুষ, ইত্যাদি মেরুদণ্ডী প্রাণী (চিত্র ৩.১)। মেরুদণ্ড কী? তুমি তোমার বন্ধুর পিঠের মাঝ বরাবর হাত দাও। তুমি কোন শক্ত দণ্ডের মতো অনুভব করছ কি? এবার একটু লক্ষ করলে বুঝতে পারবে, এ দণ্ডটি তার ঘাড় থেকে শুরু হয়ে কোমরের নিচের অংশে গিয়ে শেষ হয়েছে। এটাই মেরুদণ্ড। এটি একটি হাড় নয়। অনেকগুলো হাড় একটার পর একটা সজ্জিত হয়ে এ মেরুদণ্ড গঠিত হয়েছে। মুরগির মাংস খাওয়ার সময় এক টুকরা মুরগির গলা নাও। তার থেকে মাংসগুলো সরিয়ে নিলে ছোট ছোট হাড়ের খণ্ড দেখতে পাবে। এ ছোট এক একটা হাড়খণ্ডকে কশেরুকা বলে।
কেঁচো, তেলাপোকা, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক ইত্যাদি অমেরুদণ্ডী প্রাণী (চিত্র ৩.২)। তুমি একটা চিংড়ি নিয়ে এর বাইরের আবরণটা সরিয়ে ফেল। লক্ষ কর, কোনো শক্ত দণ্ডের মতো অংশ দেখতে পাচছ কি? এদের দেহে কোনো মেরুদণ্ড নেই। যাদের মেরুদণ্ড নেই তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। মনে রেখ, চিংড়ি কিনু মাছ নয়। এটা একটা অমেরুদণ্ডী প্রাণী।
তোমরা আগেই জেনেছ, নানা বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস করা হয়। ঠিক একইভাবে নানা বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে প্রাণীরও শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।
মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী কীভাবে চেনা যায় তা তোমরা জেনেছ। অমেরুদণ্ডী প্রাণী নানা ধরনের হয়। এদের কোনো কোনোটি এত ছোট যে খালি চোখে দেখা যায় না। অণুবীক্ষণ যনের সাহায্যে এদের দেখা যায়। অ্যামিবা এমন একটি প্রাণী। আবার কেঁচো ও জোঁক একই দলভুক্ত প্রাণী। এদের দেহ অনেকগুলো খণ্ডে বিভক্ত। শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি প্রাণীর নরম দেহ শক্ত খোলসে আবৃত থাকে। এরা আর এক দলভুক্ত প্রাণী।
তেলাপোকা একটা পতঙ্গ। এর পিঠের দিকে দুই জোড়া ডানা ও পেটের দিকে তিন জোড়া পা থাকে। মশা, মাছি, প্রজাপতি, উই, তেলাপোকা ইত্যাদি পতঙ্গ শ্রেণীভুক্ত প্রাণী (চিত্র ৩.৩)। পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে এর মধ্যে পতঙ্গ শ্রেণীভুক্ত প্রাণীদের সংখ্যাই বেশি। উইপোকা ঘরবাড়ি এবং আসবাবপত্রের ক্ষতি করে। মশা ও মাছি নানা রকম রোগ ছড়ায়। পামরী পোকা, লেদাপোকা, বিছাপোকা, ক্ষুদে মাকড় ইত্যাদি ফসলের ক্ষতি করে।
এরা ক্ষতিকর পতঙ্গ। রেশমপোকার গুটি থেকে আমরা রেশম পাই। মৌমাছির মৌচাক থেকে মধু ও মোম সংগ্রহ করা হয়। এগুলো উপকারী পতঙ্গ। এছাড়া পৃথিবীতে আরও অনেক বিচিত্র অমেরুদণ্ডী প্রাণী আছে যেগুলো সমপর্কে তোমরা উপরের শ্রেণীতে জানতে পারবে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা: মৎস্য, উভচর, সরীসৃপ, পাখি ও সন্যপায়ী প্রাণী। সকল প্রকার মাছ এ শ্রেণীভুক্ত প্রাণী। মিঠা ও লোনা উভয় ধরনের পানিতে এরা বাস করে। এদের জলচর প্রাণী বলে। রুই, কাতলা, পাবদা, কৈ, শিং, মাগুর ইত্যাদি আমাদের পরিচিত মাছ।
বৈশিষ্ট্য
১) পানিতে সাঁতার কাঁটার জন্য এদের পাখনা আছে।
২) ফুলকার সাহায্যে এরা শ্বাসকাজ চালায়।
৩) অধিকাংশ মাছের দেহে আঁইশ থাকে, আবার কোনো কোনো মাছের দেহে আঁইশ থাকে না।
৪) মাছ পানিতে ডিম ছাড়ে, ডিম ফুটে বাচচা বের হয়।
উভচর
মেরুদণ্ডী পর্বের যে সকল প্রাণী জীবনের প্রম পর্যায় সাধারণত পানিতে এবং পূর্ণাঙ্গ অবস'ায় স'লে বা ডাঙায় বসবাস করে তাদের উভচর প্রাণী বলে। জীবনের প্রম অবস'ায় ফুলকা এবং পূর্ণাঙ্গ অবস'ায় ফুসফুস দ্বারা শ্বসন কার্য সম্পনড়ব করে। যেমন : ফুলকা আইশ পৃষ্ঠপাখা কুনোব্যাঙ, সোনা ব্যাঙ ইত্যাদি। এদের ডিম থেকে ব্যাঙাচি অবস'া পর্যন- পানির প্রয়োজন হয়।
উভচর প্রাণী বৈশিষ্ট্য
১) এদের দেহে লোম বা আঁইশ নেই, ত্বক নরম।
২) এদের চারটি পা আছে।
৩) ব্যাঙাচি অবসথায় এদের ফুলকা থাকে। ফুলকা দিয়ে শ্বাসকার্য চালায়। বড় হওয়ার পর ফুলকা ঝরে যায় ও ফুসফুস গঠিত হয়। তখন ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
সরীসৃপ
যে সব মেরুদণ্ডী প্রাণী বুকে ভর করে হাঁটে তাদেরকে সরীসৃপ বলে। যেমন: টিকটিকি, সাপ, কুমির, কচছপ ইত্যাদি (চিত্র ৩.৬)।
বৈশিষ্ট্য
১) এরা বুকে ভর করে হাঁটে।
২) এদের ফুসফুস আছে।
৩) চামড়া খসখসে, দেহ আঁইশ বা শক্ত আবরণে আবৃত থাকে। পাখি
মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মধ্যে যাদের পালক আছে তাদেরকে পাখি বলে। যেমন: হাঁস, মুরগি, কবুতর, উটপাখি, দোয়েল, কাক, শালিক, মাছরাঙা, শকুন, বাজপাখি ইত্যাদি। তোমরা জান পাখি উড়তে পারে। কিনু সব পাখি উড়তে পারে না। যেমন : কিউই, পেঙ্গুইন, উটপাখি, এমু উড়তে পারে না।


পাখি বৈশিষ্ট্য
১) এদের দেহ পালক দিয়ে ঢাকা।
২) পায়ে নখ আছে।
৩) এদের হাড়গুলো ফাঁপা ও হালকা হওয়ায় এরা উড়তে পারে।
৪) এরা ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচচা হয়। উটপাখি দোয়েল পেঙ্গুইন ।
সন্যপায়ী
যেসব প্রাণী শিশুকালে মায়ের দুধ পান করে তাদের সন্যপায়ী বলে। যেমন: মানুষ, গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, হরিণ, তিমি ইত্যাদি ।
বৈশিষ্ট্য
১) এদের দেহ লোমে আবৃত।
২) বাচচা মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়।
৩) মানুষ ছাড়া অন্য সব প্রাণীর লেজ থাকে।
তোমরা আগেই জেনেছ তিমি ও শুশুক সন্যপায়ী প্রাণী। এরা পানিতে বাস করে, দেহে লোম নেই। এদের দেহে পাখনার মতো অংশটি আসলে পাখনা নয়। এটা বৈঠার মতো কাজ করে। বাদুড় ও চামচিকার যে ডানা দেখতে পাও এটাও তাদের আসল ডানা নয়। হাতের আঙুলের চামড়া প্রসারিত হয়ে ডানার মতো হয়েছে। সন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে মানুষ সর্বাপেক্ষা উনড়বত। মানুষ কথা বলতে পারে। মানুষের মসিষ্ক বা মগজ অন্যসব প্রাণীর চেয়ে বড় ও উনড়বত। হাত মুঠো করে কোন কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। দুপায়ে ভর করে দাঁড়াতে ও হাঁটতে পারে। মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। এ কারণে মানুষকে প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ প্রাণী বলা হয়।

প্রাণীর অভিযোজন
সকল প্রাণী প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে পারে না। যেমন, মরুভমিতে উট ও মেরু অঞ্চলে সাদা ভালুক বাস করে। পৃথিবীর অন্য কোন পরিবেশে এদের দেখা যায় না। এর নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
পরিবেশ পরিবর্তনশীল। পরিবেশের পরিবর্তন ঘটে ধীরে ধীরে। পরিবেশের উপাদানের পরির্তনের সাথে সাথে প্রাণীর বৈশিষ্ট্যেরও পরিবর্তন হয়। প্রতিটি প্রাণী তার নিজ পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকে ও বংশ বিসার করে। পরিবেশের কোনো পরিবর্তন ঘটলে প্রাণীর স্বভাব ও দৈহিক গঠনে নানারপ পরিবর্তন ঘটে। নতুন পরিবেশের সঙ্গে প্রাণীর নিজেকে এভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়াকে অভিযোজন বলে।
এবার এসো আমরা জেনে নেই কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে বিভিনড়ব প্রাণী নিজ নিজ পরিবেশে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে।
সাদা ভালুক ঃ সাদা ভালুকের দেহ দীর্ঘ সাদা ঘন লোমে ঢাকা। তাছাড়া এদের চামড়া বা ত্বকের নিচে পুরু চর্বিসর থাকে। এ কারণেই অন্য প্রাণীদের তুলনায় এরা বেশি তাপ ধরে রাখতে পারে। ফলে এদের শরীর গরম থাকে।
-এদের দেহ সাদা লোমে আবৃত থাকায় সাদা বরফের মধ্যে এরা সহজে চোখে পড়ে না। এভাবে শত্রুর হাত থেকে এরা রক্ষা পায়।
উট ঃ উট মরুভূমিতে বাস করে। কারণ
- উটের পা ও গলা লম্বা হওয়ায় দেহ বালি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে থাকে। ফলে উত্তপ্ত বালির তাপ দেহে কম পৌঁছায়। লম্বা পা দিয়ে এরা দ্রুত দৌড়াতে পারে।
- এরা কম পানি খেয়ে বাঁচতে পারে। পেটে পানি জমিয়ে রাখতে পারে। উটের নাকের ছিদ্র চোখের মতো বনধ করা যায়। প্রয়োজনে নাকের ছিদ্র বনধ করে এরা মরুভমিরধলিঝড় থেকে আত্মরক্ষা করে।
মাছ ঃ মাছ একটা জলজ প্রাণী। নিচের বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে মাছ পানিতে বাস করে।
- মাছের মাথা ও লেজের দিক সরু এবং দেহের মধ্যভাগ চওড়া।
- সাঁতার কাটার জন্য পাখনা আছে।
- এদের ফুসফুস নেই, এরা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
তিমি ও শুশুক ঃ তোমরা জান তিমি এবং শুশুক পানিতে বাস করে। তিমির গঠন মাছের মতো
হওয়ায় সাধারণ লোক এদের তিমি মাছ বলে। আসলে এরা কিনু - মাছ নয়, এরা সন্যপায়ী
কয়েকটি জলজ প্রাণী প্রাণী। নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের কারণে এরা পানিতে বাস করতে পারে।
- এদের লেজ নৌকার হালের মতো কাজ করে।
- ফুসফুসের সাহায্যে বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে দীর্ঘক্ষণ পানিতে ডুবে থাকতে পারে।
- নাকের ছিদ্র মাথার উপরের দিকে থাকায় এদের বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে সুবিধা হয়। এদের দেহে পাখনার মতো অঙ্গ থাকে। সাঁতার কাটার কাজে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য সামনের পা পরিবর্তিত হয়ে পাখনার মত অঙ্গ সৃষ্টি হয়।
পাখি ঃ যারা আকাশে ওড়ে তাদের খেচর বলে। খেচর বলতে আমরা পাখিকেই বুঝি। পাখিরা আকাশে ওড়ে কিনু বিশ্রামের জন্য মাটিতে, গাছে অথবা পানিতে নামে। এদের সম্মুখের পা দুটি ডানায় পরিণত হয়ে উড়তে সাহায্য করে।
বৃক্ষবাসী প্রাণী ঃ যেসব প্রাণী গাছে বাস করে তাদের বৃক্ষবাসী বলে। যেমন, বানর, গরিলা, শিমপাঞ্জী ইত্যাদি বৃক্ষবাসী প্রাণী। বৃক্ষে বাস করলেও এরা মাঝে মাঝে মাটিতে নেমে আসে।
-এদের সামনের হাত দুটি ও হাতের আঙুলগুলো লম্বা হওয়ায় সহজে গাছের ডাল- আঁকড়ে ধরতে পারে।
খোলস ও কাঁটা যুক্ত প্রাণী ঃ আত্মরক্ষার জন্য শামুক, ঝিনুক, কাছিম ও অনেক প্রাণীর শরীর শক্ত খোলসে ঢাকা থাকে। সজারুর আত্মরক্ষার জন্য তার গায়ে শক্ত কাঁটার আবরণ রয়েছে।
পতঙ্গ ঃ তেলাপোকাসহ বিভিনড়ব পোকার পুঞ্জাক্ষী সামনে ও পেছনে সমানভাবে দেখতে সাহায্য করে।
এভাবে বাসস'ান, জলবায়ু ও আত্মরক্ষার জন্য প্রাণীর দেহে অভিযোজন ঘটে।
অনুশীলনী
ক. বহুনির্বাচনি প্রশড়ব
সঠিক উত্তরটিতে টিক (√) চিহ্ন দাও
১। কোনটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী?
ক) তিমি খ) কই মাছ গ) চিংড়ি ঘ) শুশুক
২। চামচিকা ও বাদুড়কে কেন সন্যপায়ী প্রাণী বলা হয়?
ক) পোকামাকড় খায় খ) উড়তে পারে গ) মায়ের কাছে থাকে ঘ) মায়ের দুধ খায়
৩। মেরু এলাকার পশুদের দেহ উষ্ণ থাকে কেন?
ক) বিরাট আকারের হওয়ায় খ) সহজে শিকার ধরে খায় গ) দেহের ত্বকের নিচে পুরু চর্বি সর থাকায় ঘ) দেহ লোমে ঢাকা
৪। কোন প্রাণীটি ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়?
ক) কাক খ) মাছ গ) গরু ঘ) সাপ
৫। নিচের কোনগুলো উপকারী পতঙ্গ?
ক) মৌমাছি ও উইপোকা খ) উইপোকা ও রেশমপোকা গ) রেশমপোকা ও মৌমাছি ঘ) তেলাপোকা ও রেশমপোকা
৬। প্রজাপতি ও চিংড়িকে কেন অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলা হয়?
ক) সোজা হয়ে চলতে পারে খ) মেরুদণ্ড নেই গ) উড়তে পারে ঘ) আকারে ছোট
৭। পতঙ্গের বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক) তিন জোড়া পা ও দুই জোড়া ডানা আছে খ) উড়তে পারে না গ) দুই জোড়া পা ও দুই জোড়া ডানা আছে ঘ) মেরুদণ্ড নেই
খ. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশড়ব
১। তিনটি ক্ষতিকর পতঙ্গের নাম লেখ। এগুলো আমাদের কী কী ক্ষতি করে?
২। কোন ধরনের প্রাণীকে সরীসৃপ বলে? উদাহরণ দাও।
৩। অভিযোজন কাকে বলে? কোনো প্রাণী পানিতে অভিযোজিত হওয়ার কারণ কী?
৪। প্রাণীদের প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়? এদের নাম লেখ।
৫। মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
৬। কী কী কারণে মানুষ প্রাণিজগতের শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচিত হয়?
৭। ব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন?
গ. রচনামলক প্রশড়ব
১। মৎস্য শ্রেণীভুক্ত প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যগুলো কী?
২। কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে সাদা ভালুক মেরু এলাকায় অভিযোজিত হয়েছে উলে−খ কর।
৩। কোন কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে মাছ পানিতে বাস করতে পারে?
৪। মরুভমির প্রাণীদের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকে?
Abu Hasan
Rajshahi University
216.73.216.38